
আমি ভালোবাসতে চাই এবং ভালোবাসা পেতে চাই। ভালোবাসা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ ও উত্তম মাধ্যম খুঁজে বের করতে হবে, জানতে হবে এবং তা আত্মস্থ করতে হবে। আমাদের বোঝা দরকার, কোন ভালোবাসা সবচেয়ে ঝুঁকিমুক্ত, নিঃস্বার্থ ও পরিপূর্ণ।
ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের ভালোবাসার স্রষ্টাকে জানতে হবে। যিনি আমার ও আপনার স্রষ্টা, তিনিই ভালোবাসার স্রষ্টাও। তাই তাঁর সাথে আমাদের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
ভালোবাসা তৈরির প্রক্রিয়া কী? আল্লাহ কি আমাদের
জন্য কোনো পদ্ধতি নির্ধারণ করেছেন? যদি করে থাকেন, তবে সেই পথেই আমাদের অগ্রসর হতে
হবে। ভালোবাসার প্রস্তাব কে দেবে—আমি নাকি আল্লাহ? যদি ভালোবাসা আমার পক্ষ থেকে হয়,
তাহলে তার পরিণতি কী? আর যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, তাহলে সেটির হিসাব কেমন হবে?
তাহলে উপায় খুঁজে বের করা যাক—আল্লাহ কাদের
ভালোবাসেন? কোন গুণাবলি আল্লাহর কাছে প্রিয়? যদি আমরা সেই গুণ অর্জন করতে পারি, তাহলে
তাঁর ভালোবাসার অন্তর্ভুক্ত হতে পারব। আর যখন আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক স্থাপিত
হবে, তখন দুনিয়ার সঙ্গেও প্রকৃত সম্পর্ক তৈরি হয়ে যাবে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন— “যখন
আল্লাহ কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিবরাইল (আ.)-কে ডেকে বলেন: ‘নিশ্চয়ই আমি
অমুককে ভালোবাসি, তুমি তাকে ভালোবাসো।’ তখন জিবরাইল (আ.) তাকে ভালোবাসেন। এরপর জিবরাইল
(আ.) আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা দেন: ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ অমুককে ভালোবাসেন, তোমরাও তাকে
ভালোবাসো।’ ফলে আকাশবাসীরাও তাকে ভালোবাসে। এরপর তার জন্য পৃথিবীতে গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি
করে দেওয়া হয়।” (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
যদি আল্লাহ কাউকে ভালোবাসেন ও তার প্রতি সন্তুষ্ট
থাকেন, তবে সেটিই সর্বশ্রেষ্ঠ সফলতা। আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের প্রতি কেবল তিনিই ভালোবাসা
দেন না, বরং ফেরেশতাগণও তাদের ভালোবাসতে শুরু করেন। এমনকি দুনিয়ার মানুষও তার প্রতি
ভালোবাসা অনুভব করে এবং সে সমাজে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে।
আমাদের উচিত এমন জীবন যাপন করা, যা আমাদের
আল্লাহর ভালোবাসার উপযুক্ত করে তোলে। এই হাদিসটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সত্যিকারের সম্মান
ও ভালোবাসা একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।